১৫ জানুয়ারি খুব ভোর বেলা আমরা রেনফে রেল- এ করে মাদ্রিদ থেকে সেভিলে রওনা করি। সম্ভবত আড়াই থেকে তিন ঘন্টা লেগেছিলো। স্পেনে যে ট্রেন গুলো এক শহর থেকে আরেক শহরে চলাচল করে এগুলো রেনফের অধীনে। সেভিল খুব শান্ত, পরিপাটি একটা শহর। শহরটার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে গুয়াদালকুভির নদী। আমরা ছিলাম হোস্টল জেনটফটে। এই হোটেলটা একেবারে নদীর ধারেই। সেভিল অষ্টম শতক থেকে ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত মুসলিম শাসকদের অধীনে ছিল। এখানকার পর্যটনের মূল আকর্ষণ আলকাজার প্যালেস এবং জিরালডা টাওয়ার মুসলিম শাসন আমলেই তৈরী। সেভিল ক্যাথেড্রাল এর মধ্যে দিয়ে ঢুকে জিরালডা টাওয়ারে ওঠা যায়। টাওয়ারটার উচ্চতা প্রায় ৩৪২ ফুট। পুরোটা পায়ে হেঁটেই উঠতে হয়, তবে হুইল চেয়ার ঠেলে নেবার ব্যবস্থা আছে। টাওয়াররের মাথা থেকে সেভিল শহরের পুরোটা দেখে নেয়া যায়। আর সেভিল ক্যাথেড্রাল টা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো গোথিক ক্যাথেড্রাল। সেভিলে আসলে যেটা কোনো ভাবেই বাদ দেয়া যাবে না তা হলো আলকাজার প্যালেস। এর বাগান আর স্থাপনা গুলো ভালো ভাবে ঘুরে দেখতে ৩-৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
সেভিল এর রাস্তা গুলোর দুই ধার দিয়ে সারি সারি কামলা লেবুর গাছ আর তাতে ঝুলে আছে বড়ো বড়ো কমলা। কেউ ছিড়ে খাচ্ছে না দেখে অবাক লাগে। আলকাজার প্যালেসের মধ্যে থেকে একটা কমলা ছিড়ে বোঝা গেলো গাছের কমলা গাছেই থেকে যাওয়ার মূল রহস্য। এতটাই টক যে পাখিও খায়না। সন্ধ্যার পর সময় কাটানোর মতো জায়গা হলো প্লাজা দে এস্পানা। এছাড়া সেভিল ফ্লামেনকো শো এর জন্যেও বিখ্যাত। ফ্লামেনকো শো গুলো মূলত সন্ধ্যার পরেই হয়ে থাকে। কিন্তু ৬ বছরের নিচের বাচ্চাদের ঢোকার অনুমতি নেই। তাই ছোট বাচ্চা সাথে থাকলে এই চিন্তা বাদ দিতে হবে। কেউ যদি ষাঁড়ের লড়াই দেখতে চান তবে অবশ্যই এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে যেতে হবে।
Part of Seville from Giralda Tower
Giralda Tower
Seville Cathedral
Seville Cathedral
Alcazar Palace
Alcazar Palace (Inside)
Plaza De Espana
Bullfight Stadium
[চলবে]... ..
Related Post
প্লাজা-পিয়াজ্জা'র দেশে; পর্ব-৫ (বার্সেলোনা)প্লাজা-পিয়াজ্জা'র দেশে; পর্ব-৬ (ভ্যাটিকান সিটি, রোম)
প্লাজা-পিয়াজ্জা'র দেশে; পর্ব-৭ (রোম)
No comments:
Post a Comment